স্বপ্নীল চৌধুরী জাবেদঃ হাজার বছরের সেরা বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে শ্রমিক রাজনীতিতে পরশীত এস এম কামাল হোসেন। তার বাবা বাংলাদেশ নিরমান শ্রমিকলীগের স্বনামধন্য সভাপতি মোঃ হানিফ সরদার। বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নয়নের “রূপকার” তথা বর্তমান বিশ্ব মানবতার “মা” অদূরদর্শী খাঁটি দেশপ্রেমিক জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী রাজনীতির লড়াকু সৈনিক এস এম কামাল হোসেন। যিনি ২০০১ সালে বিএনপি’র সেকালের সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী ক্যাডার কুখ্যাত বাহিনীর অতর্কিত হামলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে ঠিকিয়ে রাখতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ঢাকা মহানগরীর রাজপথ কাঁপানো এই লড়াকু শ্রমিক নেতার আত্মজীবনে আওয়ামীলীগের জন্য যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন ইহার স্বচক্ষে দেখার স্বাক্ষী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম এডভোকেট সাহারা খাতুন ও জনাব, হাবিবুর রহমান সিরাজ শ্রম সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ঢাকা ১০ আসনের স্বনামধন্য মন্ত্রী এমপি রাশেদ খাঁন মেনন সহ কুমিল্লা দাউদকান্দি ৯ আসনের এমপি মেজর জেনারেল সুবেদ আলী ভুইয়া ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী জনাব আব্দুর রাজ্জাক। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিটি কর্ম যাঁর মনে সদা সর্বদা স্বপ্নের মাইলফলক সৃষ্টি করে তিনি হলেন এদেশের শ্রমিক জনতার মজলুম উদিয়মান জননেতা কামাল হোসেন। তাঁর মনে প্রাণে বাচন-ভঙ্গীতে সর্বদা যেন মহান নেতা শেখ মুজিবের উদারতা জনগণ দেখতে পায়। তাঁর বক্তৃতা-ভাষনে শ্রমিকদের শরীরের তাজা রক্ত ঢেউ খেলে। নিজ পরিবারের স্বজনহারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেমন কোন চাওয়ার চাহিদা নেই। সেই মনোভাসনায় গুনমুগদ্ধ জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এস এম কামাল হোসেন তাঁর অন্তর দৃষ্টিতে দেখতে পান। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম ও দেশ প্রেমের সাহসীকতা যেন সবর্দা কামাল হোসেন কে তাঁর অন্তুর গভীরে নাড়া দেয়। এজন্য তিনি মুজিব আদর্শবাদী মনপ্রাণ উজার করা একজন উদিয়মান শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষনকারী উন্নত রাজনীতির ত্যাগীনেতা। যিনি ১/১১ এর সময় আওয়ামীলীগের স্বপক্ষ সমর্থ করতে গিয়ে ১১টি মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘ ৭মাস ১৫ দিন কারাভোগ করেছেন। এমন উজ্জ্বল কৃতিত্ত¡পূর্ণ বর্ষীয়ান সাহসী রাজপথ কাঁপানো রাজনীতিবিদকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকলীগ কমিটির সভাপতি হিসেবে মানায় বটে। কেননা এই নেতা আওয়ামীলীগের একজন আত্মত্যাগী নীতিবান আদর্শ নেতা। আওয়ামীলীগের সুদক্ষ সাধারণ সম্পাদক স্বনামধন্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন “দল গঠনে নেতার কোনো অভাব নেই-কিন্তু ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতার অভাব রয়েছে।” তাঁর এমন মূল্যবান কথায় যাচাই করলে এস এম কামালের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কোন কমতি নেই। সকল প্রকার যাচাই-বাছাইয়ে জনাব কামাল টিকসই বটে। কেননা ঢাকা মহানগরীর রাজনৈতিক রাজপথে যদি এস এম কামাল হোসেন মিছিল-মিটিং এর সামনে থাকেন, যদি কখনো শ্লোগান তুলেন “দুনিয়ার মজদুর-একহও একহও।” তখন ঢাকা মহানগর শ্রমিকলীগ, নিরমান শ্রমিকলীগের প্রতিটি সদস্যের শরীরের বহমান রক্ত যেন টগবগিয়ে নাচতে থাকে। নব উদিয়মান এই নেতার মধ্যে এদেশের প্রখ্যাত মরহুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাষানী সহ বর্তমান প্রজন্মের মুন্নুজান সুফিয়ানের মত স্বনাম ধন্য নেতাদের আবেগ-উত্বেজনার একটা সুস্পষ্ট ভাব ফুটে উঠে। একথা যেকোন শ্রমিকলীগের অনেকেই বলাবলি করেন। এদেশের খাঁটি দেশপ্রেমিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে শুধু এই দেশে এগিয়ে যায়নি। এস এম কামাল হোসেনের মত প্রতিভাবান নতুন নতুন নেতারাও শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের রাজনীতির আদর্শে এগিয়ে যাচ্ছে-এটাই সত্য। এদেশে প্রতিদিন প্রতিটি প্রভাতে পূর্বাকাশে প্রজ্জলিত উদিয়মান সূর্যকন্যা এদেশের সর্বযুগের সুমহান নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ছোঁয়াতেই এসব কামাল হোসেনদের মত গুটি কয়েক আদর্শবান নেতা-নেত্রীর হয়তো অর্বিভাব হয়েছে। অন্যথায় এদেশের মাটিতে এমন রাজনৈতিক আদর্শের সৃষ্টি হতোনা। শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলাধীন ধানকাটি গ্রামে রত্নাগর্ভা রেহানা নামক সুভাগ্যবান এক মায়ের পেটে জন্ম নিয়েছেন এস এম কামাল হোসেন। যাঁর ডাকে ঢাকা মহানগরীর সকল শ্রমিক সংগঠন যেন রাজনীতিতে নতুন প্রাণ খুঁজে পাচ্ছে। মাননীয় সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনেপ্রাণে অতি গোপনে ত্যাগী ও বিশ্বস্ততায় যাদের হয়তো খুঁজছেন-তাদের অন্যতম একজন এস এম কামাল হোসেন। তাই আমি বলবো জনাব ওবায়দুল কাদেরকে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্লিজ আপনারা সত্যি কারের যাচাই বাছাইয়ের চুল ছেড়া দৃষ্টিতে যদি উয়িমান এই নেতা এস এম কামাল হোসেনকে দেখতে হিসেবে আপনাদের যাচাই-বাছায়ের কষ্টি পাথরে ধরা পড়ে তবে এস এম কামাল কে ঢাকা দক্ষিণের শ্রমিকলীগের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দিন। এদেশের শ্রমিক-জনতা ইহাই চাচ্ছে। সঠিক পরিসংখ্যান তাই বলে।
Home জাতীয় সংবাদ নির্যাতিত-নিস্পেশিত-অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকদের মুজিব আদর্শবাদী সাহসী নেতা-এস এম কামাল হোসেন