রক্ষক ভাইয়েই ভক্ষক, রামগঞ্জে প্রবাসীর নির্মানাধিন ঘর ভাংচুর

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে বড় ভাই রক্ষক সেজে টাকা ও সম্পত্তি ভক্ষন করতে না পেরে প্রবাসী ছোট ভাইয়ের নির্মানাধীন বসতঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বড় ভাই তার বোন সুফিয়া বেগম ও মাজেদা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম শ্যাফালীপাড়া গ্রামের গলা কাটা শেখের বাড়ির আফাজ উদ্দিন জীবনদশা ২০০৪ সালে তার তিনপুত্র ইউসুফ মিয়া, মানিক মিয়া ও শামসুল হককে সাড়ে চার শতাংশ সম্পত্তি রেজি: করে দেয়। উক্ত সম্পত্তিতে আফাজ উদ্দিনের প্রবাসীপুত্র বসবাস করে আসছে। বসতঘরটি জরাজীর্ন হলে প্রবাসী ছোট ভাই ইউছুফ মিয়া তার বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইব্রাহিম মিয়াকে দায়িত্ব দেয় বসত ঘরটি ভেঙ্গে নির্মান করতে। দায়িত্ব পেয়ে ইব্রাহিম তার ছেলে সহেলকে সাথে নিয়ে বসতঘরের নির্মান কাজ শুরু করে। র্দীঘ দুই মাসেও টিনসেট ঘরটি নির্মান করা সম্ভাব না হওয়ায় মঙ্গলবার স্থানীয় ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে শ্রমিকেরা কাজ করে। বাড়ির মীর আলম বলেন, ইব্রাহিমের ঠিক করা শ্রমিকে কাজ করার সময় ইব্রাহিম এবং তার ছেলে সহেল বাধা প্রদান করে। এ সময় তার বোনেরা কারন জিজ্ঞাসা করলে ইব্রাহিম তার বোনের গলা চেপে ধরে। ইব্রাহিমেরে ছেলে সহেল তার ফুফুকে কাঠের টুকরো দিয়ে আঘাত করতে গেলে তার পিতার চোখের কোনা লাগে। প্রবাসী ইউসুফ মিয়ার স্ত্রী নাছিমা বেগম বলেন, বিদেশ থেকে আমার স্বামী তার ভাই ইব্রাহিমের কাছে ঘর নির্মান করতে টাকা পাঠিয়েছে। তিনি সকল মালামাল কিনে শ্রমিক দিয়ে কাজ করাচ্ছে। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হঠাৎ করে এসে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটিতে ওনার ছেলে সহেল উপস্থিত হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে।

অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়া বলেন, আমি সেনা সদস্য হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় ২০০৪ সালে বাবা জীবনদশা সম্পত্তি রেজি: করে দিয়েছে। আমি জানতাম না। বিষয়টি নিয়ে তর্ক-বিতর্কের মাঝে মীর আলম পরিকল্পিত ভাবে আমাকে এবং আমার ছেলে সহেলকে আঘাত করে।