ফুলেল সংবর্ধণা, রামগঞ্জে করোনা আইসোলেশনে চিকিৎসা শেষে আক্রান্ত ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রওশন জামিলসহ আইসোলেশনে চিকিৎসা শেষে ৯জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ্য হয়ে আজ বিকালে তাদের নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরেছেন।
এ সময় তাদেরকে স্থানীয় এমপি ড.আনোয়ার হোসেন খানের পক্ষ থেকে কোরআন ও গীতাসহ বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।

হসপিটাল সূত্রে জানা যায়, রামগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী দাসপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলমের সংস্পর্শে আসার পর রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রওশন জামিলসহ আক্রান্ত হন আরো ৪ কর্মকর্তা কর্মচারী। একের পর এক রামগঞ্জ উপজেলায় বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯জনে।

সর্বশেষ তথ্যমতে প্রথমবার পজেটিভ আসার পর একের পর এক তৃতীয় দফায় ৯জনের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রওশন জামিল, একই হসপিটালের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ল্যাব) বিষ্ণপদ দাস, হারবাল সহকারী শাখাওয়াত হোসেন তুহিন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী সুমন চন্দ্র দাস, প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার, শাশুড়ি সাহিদা বেগম, শালা আরমান হোসেন, সমেষপুর গ্রামের নাহিদুল ইসলাম। এছাড়া করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে হসপিটাল থেকে পালিয়ে যাওয়া আঙ্গারপাড়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র দাস সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে যান। করোনা আক্রান্ত হয়ে বিগত ১৪দিন থেকে ২৮দিন যাবত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অাইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধিন ছিল। পরবর্তিতে তাদের করোনা পরিক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট আশায় তাদেরকে সুস্থ ঘোষনা করেন।
আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বাড়িতে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় প্রদান করেন এবং লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের এমপি ড.আনোয়ার হোসেন খানের দেওয়া গিফট প্রদান করেন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরা রোগীরা আন্তরিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য হাসি মাখা অভিব্যক্তি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন, এবং রামগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ড.গুনময় পোদ্দারসহ সকল ডাক্তার,নার্স ও ষ্টাফদেরকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন , হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দারসহ সকল ডাক্তার,নার্স ও ষ্টাফগন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার গুনময় পোদ্দার জানান, হাসপাতালের সকলে অত্যান্ত আন্তরিক সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে, ফলে করোনা যুদ্ধে আজকের এ জ‌য়ের সাফল‌্য।

তিনি আরো জানানা, প্রথম করোনা রোগী খোরশেদ আলমের শালি তানিয়া আক্তার ও দাদি শাশুড়ী সাদিয়া আক্তারের ২য় পর্যায়ে নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তৃতীয়বার নেগেটিভ আসলে তাদেরকেও বাড়ী ফেরত পাঠানো হবে।