রামগঞ্জে করোনা আক্রান্তের ঘটনায় বাড়ী লকডাউন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
রামগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭। সোমবার রাতে লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানায় সর্বশেষ তথ্যমতে রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বিঘা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ও তার ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এছাড়া ঐ পরিবারের অন্য তিন সদস্যের রিপোর্ট নেগেটিভ। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন কমলনগর উপজেলায় ১জন ও রায়পুর উপজেলায় ১জন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান বাড়িটি লকডাউন করেছেন। আক্রান্ত সাবেক ইউপি সদস্যর ছেলে চাঁদপুরের পরিসংক্ষান কর্মকর্তা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাবা ছেলে দুইজনকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।

বর্তমানে জেলার সবচেয়ে করোনায় আক্রান্তপূর্ণ এলাকা হচ্ছে জেলার রামগঞ্জ উপজেলা। তারপরের অবস্থানে রয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা ১৭, রামগতি ৬জন, কমলনগর উপজেলা ৬ ও রায়পুর উপজেলায় ১জনসহ মোট ৪৮জন। সোমবার রাত ১১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
এসময় জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউপির পশ্চিম বিঘা গ্রামের মেম্বার বাড়ি থেকে জ্বর, সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে ২৭ এপ্রিল তার পুত্রসহ ৫জন পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়।

তাদের নমুনা ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করা হলে দুইজনের দেহে সোমবার রাতে করোনা ধরা পড়লেও পরিবারের অন্য সদস্যদের নেগেটিভ আসে।

এলাকাবাসী জানান, উক্ত পরিবারের সদস্যরা হসপিটালে নমুনা দেয়ার পর রিপোর্ট আসার আগেই এলাকার চা দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে আড্ডা দেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, আক্রান্তদের একজন নিকটাত্মীয় সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামে আসেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই আক্রান্ত দুজনই পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে ঘুরাফেরা করছে। তাই আমরা বাবা ছেলে দুজনকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। বাকীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এসময় উক্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য ফলমূল দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উক্ত পরিবারের সার্বিক বিষয়ে তদারকি করবেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল গফ্ফার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলায় মোট সংগৃহীত নমুনার সংখ্যা ১২৫০ জন। ফলাফল পাওয়া গেছে ১০৭৬ জনের, বাকী রয়েছে ১৭৩ জনের নমুনার ফলাফল।