কুমিল্লা হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলোর কাছে সাধারন যাত্রীরা জিম্মি

কুমিল্লা হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলোর কাছে সাধারন যাত্রীরা জিম্মি ۔ বিশেষ করে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে বাসের যাত্রীদের যাত্রা বিরতি দেওয়া হয় কুমিল্লা অঞ্ছলের বিভিন্ন হাইওয়ে রেস্তোরাঁতে ۔ কিছু অসাধু অতি মুলাফালোভী হোটেল ব্যাবসায়ী তারা যাত্রীদের কাছ থেকে তিনগুন বেশি দামে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য বিক্রি করছে যা কি অমানবিক ۔ ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষ।বিভিন্ন সময়ে জরিমানার পরও যাত্রীদের কাছ থেকে পণ্যের চড়া দাম নিচ্ছে কুমিল্লার অর্ধশতাধিক হাইওয়ে রেস্তোরাঁ। গলা কাটা দাম নেওয়ার পরও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও পরিবেশনের অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০৫ কিলোমিটার অংশে রয়েছে শতাধিক রেস্তোরাঁ। এগুলোতে বাস ও অন্য পরিবহন যাত্রা বিরতি করে। বিভিন্ন সময়ে   যাত্রী বিরতির অধিকাংশ রেস্তোরাঁয় পাঁচ টাকার পরোটা ২০ আর ১০ টাকার চা ৩০ টাকা বিক্রি করা হয়। সূত্র জানায়, অনেক বাসমালিক ও চালকদের সঙ্গে চুক্তি থাকে ওই রেস্তোরাঁয় যাত্রা বিরতির। বিরতির পর চালক, সুপার ভাইজার ও হেলপারের খাবার ফ্রি দেওয়া হয়। থাকে তাদের কমিশনও। কমিশনের টাকা তুলতে চড়া দাম দিতে হয় যাত্রীদের। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয় সূত্র জানায়, গত তিন বছরে বেশি দামে খাবার বিক্রি ও নোংরা পরিবেশের জন্য অর্ধশতাধিক রেস্তোরাঁ মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে সুয়াগাজী এলাকার হোটেল কাননকে জরিমানা করা হয়েছে দুইবার।চৌদ্দগ্রামের তাজমহল কমপ্লেক্স, ফুড প্যালেস, টাইমস স্কোয়ার, ভিটা ওয়ার্ল্ড, হাইওয়ে ইন রেস্তোরাঁকে একবার করে, ডলি রিসোর্টকে দুইবার, তৃপ্তি হোটেলকে দুইবার জরিমানা করা হয়। আলেখারচরের মাতৃভান্ডার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, ব্লু ডায়মন্ড হোটেল ও কুমিল্লা হাইওয়ে হোটেলকে দাম বেশি নেওয়ার জন্য জরিমানা করা হয়। ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁকে দুইবার জরিমানা করা হয়েছে। মায়ামী হোটেল, পদুয়ার বাজারের হোটেল নুরজাহান ও ছন্দু হোটেলও জরিমানা থেকে রেহাই পায়নি। আর বুড়িচংয়ের মিয়ামী হোটেলকে দাম বেশি ও নোংরা পরিবেশের জন্য তিনবার জরিমানা করা হয়। একই কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে নুরমহল হোটেল, ময়নামতি হাইওয়ে রেস্টুরেন্ট, সৌদিয়া হোটেল, ঝাগুরজুলির আইরিশ হিল, জমজম হোটেল, জাহানারা হোটেল ও বৈশাখী হোটেলকে। ফেনীর নবী বলেন, যাত্রা বিরতির সময় অনেক রেস্তোরাঁয় পাঁচ টাকার পরোটা ২০ টাকা, ১০ টাকার চা ৩০ টাকায় বিক্রি করে। সেভাবে তারা মূল্য তালিকাও করে রাখে। অনেকে মূল্য তালিকা না দেখেই খাবার খায়। পরে বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিতে হয়। জাতীয় ভোক্তাকধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে ও তদারকি করে নোংরা পরিবেশ ও মূল্যতালিকা না থাকার বিষয়ে জরিমানা করি। হাইওয়ে রেস্তোরাঁগুলো আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তিনি  আরো বলেন যে ভোক্তারা যখনি আমাদেরকে এসব হোটেল গুলোর অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করলে আমরা টা তাৎক্ষণিক ভেবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো ۔তাই সাধারণ যাত্রীরা মনে করেন যে কুমিল্লার হাই ওয়ে খাবার হোটেল গুলো যেন নিয়ম মেনে যাত্রীদের সাথে সঠিক আচরণ করে যার ফলে বৃহত্তর কুমিল্লার সম্মান অক্ষুন্ন থাকবে বলে তারা মতামত ব্যাক্ত করেন।