গণভবনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলন ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সম্মেলনে বিগত কয়েক বছরের মত এবারও উপস্থাপক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বি.পি.এম (বার), পি.পি.এম।
উল্লেখ্য, সৈয়দ নুরুল ইসলাম সাহসিকতার জন্য ২০১১ সালে পি.পি.এম পদক, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বি.পি.এম লাভ করেছিলেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালের ১লা মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের জালমাছমারি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা এবং বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার পিতা- বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কশিমুদ্দীন মিঞা, মাতা- মরহুম গুলনাহার বেগম। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলী হোসেন। মেজ ভাই শিক্ষা অনুরাগী সমাজসেবক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তিনি বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলার সফল চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন।
১৯৮৬ সালে লালমনিরহাট বাংলাদেশ রেলওয়ে চিলড্রেনপার্ক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখা থেকে ১ম বিভাগে এস.এস.সি, ১৯৮৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি, ১৯৯১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি, ১৯৯৩ সালে এম.এস.সি পাস করেন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এম.এ.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সৈয়দ নুরুল ইসলাম ২০তম বি.সি.এস এর মাধ্যমে ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
পরবর্তীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার, জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশন, রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার, নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার, উপ-পুলিশ কমিশনার ওয়ারী জোন, ডিএমপি, ঢাকা, বিশেষ পুলিশ সুপার (এস.বি) ঢাকা এবং পুলিশ সুপার ময়মনসিংহে অত্যান্ত সুনাম ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার থাকাবস্থায় তিনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, কামরুজ্জামান, এটিএম আজহারুল ইসলাম, কাদের মোল্লা’কে গ্রেফতার করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন সৈয়দ নুরুল ইসলাম মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
জনবান্ধব সেবামুখী পুলিশিং নিশ্চিতকরণে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় আর্ত মানবতার সেবায় তিনি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে ২০তম বিসিএস ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃতি সন্তান, জেলার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের মানুষদের অন্যতম আশ্রয়স্থল সৈয়দ নুরুল ইসলামের সাফল্যে জেলার মানুষ তথা বিশেষ ভাবে তরুণ ও যুব সমাজ উজ্জীবিত।