কমপক্ষে দেড় হাজার অনুপ্রবেশকারী: হার্ডলাইনে আওয়ামী লীগ

অনুপ্রবেশকারী: হার্ডলাইনে আওয়ামী লীগ
কমপক্ষে দেড় হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে। সেই তালিকা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা তুলে দিয়েছেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের হাতে; দিয়েছেন ব্যবস্থা নেয়ার কড়া নির্দেশ।  

দলের ২১তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে চলছে ব্যাপক তোড়জোর। রাতারাতি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বনে যাওয়া নেতাদের ওপরও চলছে নজরদারি।

নিজস্ব টিম ও  গোপন রিপোর্টে উঠে আসা অনুপ্রবেশকারীদের নামের একটি তালিকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন দল থেকে আসা কমপক্ষে দেড় হাজার অনুপ্রবেশকারীর নাম। যারা অনেকেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন আওয়ামী লীগের জেলা-উপজেলাসহ তৃণমুলের কমিটির নেতৃত্বে।

দলের নেতারা আরো জানান, তৃণমূলের কাউন্সিলে বিতর্কিতদের বাদ দেবার পাশাপাশি দলীয় গঠনতন্ত্র যেন মেনে চলা হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তৃণমূলে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল বলেন, ‘আমাদের নেতাদের কারো কারো ছত্রছায়ায় এ ধরনের অনুপ্রবেশ হয়েছে। তাদের শক্তিকে বৃদ্ধি করার জন্য এই সমস্ত নীতি নৈতিকতাহীন, যারা আমাদের আদর্শে বিশ্বাস করে না তাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা দেখছি, জেলা থেকে যে ইউনিয়ন পরিষদের কমিটি করতে ভূমিকা রাখছে, এমন যেন না হয়। যে যেই স্তরের দায়িত্বে আছেন, সেই সেখানকার দায়িত্ব পালন করে সব কিছু ঢেলে সাজাবেন।’

২০১৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর দলে অনুপ্রবেশের হার বেড়ে যায়। নানা অপকর্মের পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধও বাড়িয়ে তুলেছেন এসব নেতারা।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদের আমরা ঝেড়ে বিদায় দিতে চাই।’ এটা জেলা পর্যায়ে যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনি জেলায় এবং উপজেলায় পর্যায়ে যিনি আছেন তিনি উপজেলায় দেখবেন যেন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে।’ সহযোগী সংগঠনগুলোতেও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কঠোর কেন্দ্রীয় নেতারা।