
অপহরণের পর আটকে রেখে ২৫-২৬ দিন ধরে গণধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী জেডিসি পরীক্ষা দিতে পারছে না।
আজ শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সে পরীক্ষা দিতে পারছে না। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ অক্টোবর দাইরগাঁও গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বিপ্লব মেকার (৩৫), পাশের কলুরগাঁও গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে শারফুল (২৬) এবং মুর্শিদ খানের ছেলে ওয়াসির খান (২৮) ওই ছাত্রীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। তাকে না পেয়ে পরিবার তখন পাগলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। গতকাল ভোরে তাকে দাইরগাঁও মাদরাসার সামনের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
মসজিদে নামাজ পড়তে আসা লোকজন তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে তাকে বাড়ি নিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর দরিদ্র বাবা বলেন, ‘তিন শয়তান আমার মায়ার জীবনডা ধ্বংস কইরা দিছে। আল্লা গো, আমি কই বিচার পাইবাম? আমি উপযুক্ত বিচার চাই।’
এ ঘটনায় দ্রুত মামলা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে পাগলা থানার ওসি শাহিনুজ্জামান খান বলেন, মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।