ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫০০ সিসি বা তার চেয়ে বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন বিলাসবহুল গাড়ির তালিকা চেয়ে বিআরটির কাছে আবারো চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শুধু তাই নয় ইতিপূর্বে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) যে তালিকা পাঠিয়েছিল তাতে চাহিদাকৃত সকল তথ্য সন্নিবেশিত না থাকায় কমিশন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খানের সই করা চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবরের পাঠানো এবারের চিঠিতেও ২৫০০ বা তদূর্ধ্ব সিসির ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেট কার বা জিপ গাড়িসমূহের ব্র্যান্ডের নামসহ অন্যান্য তথ্যাদি যুক্তি করে নতুন করে তালিকা পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, এসব গাড়ি নতুন না রিকন্ডিশন সে তথ্যও তালিকায় সন্নিবেশিত করতে হবে। ইতোপূর্বে বিআরটিএ পাঠানো তালিকায় এ জাতীয় তথ্য সন্নিবেশিত না থাকায় কমিশন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং এসব তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কার্নেট ডি-প্যাসেজ সুবিধায় আনীত বেশকিছু বিলাসবহুল গাড়ি ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে বিআরিটিএতে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে এমন অভিযোগ কমিশনের অনুসন্ধান বা তদন্তাধীন রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিগত পাঁচ বছরে বিআরটিএ কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনকৃত ২৫০০ বা তদূর্ধ্ব অশ্বশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেটকার কার বা জিপ গাড়ির তালিকা চেয়েছিল দুদক।
গত বছরের ২৮ জুন একই বিষয়ে অনুরোধ করে বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে দুদকে তৎকালীন মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মোহাম্মদ জয়নুল বারীর স্বাক্ষরে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত চিঠি দেওয়া হলো।