রাজধানীর কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে তেল কম দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) অভিযান চালিয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ও সিলগালা করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসটিআই এ তথ্য জানায়।
বিএসটিআই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মিরপুর-২ এর মেসার্স স্যাম অ্যাসোসিয়েটস প্রতিদিন গড়ে আনুমানিক ৩৬ হাজার লিটার পেট্রোল, অকটেন ও ডিজেল বিক্রি করে। স্যাম অ্যাসোসিয়েটসের ৪টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৫৪০ মিলি লিটার, ৫৩০ মিলি লিটার, ৫২০ মিলি লিটার ও ৫০০ মিলি লিটার তেল কম পাওয়া যায়। এছাড়া ২টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৪৪০ মিলি লিটার ও ৪১০ মিলি লিটার অকটেন কম এবং ২টি পেট্রোল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৪৬০ মিলি লিটার ও ৪৭০ মিলি লিটার পেট্রোল কম দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার অভিযানে এই রকম পুকুর চুরির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন-২০১৮’ অনুযায়ী পেট্রোল পাম্পটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা মহানগরীর উত্তরা ও গাজীপুর এলাকায় মঙ্গলবার বিএসটিআই অভিযান পরিচালনা করে আরও ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
উত্তরার আজমপুর এলাকার মেসার্স কসমো ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির দু’টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৪০ মিলি লিটার অকটেন ও চারটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৫০ মিলি লিটার, ১২০ মিলি লিটার, ১৯০ মিলি লিটার ও ২০০ মিলি লিটার ডিজেল কম দেওয়া হয়। একই প্রতিষ্ঠান দু’টি সুপারটেক ও দু’টি হাইটেক ডিসপেন্সিং ইউনিট বিএসটিআইয়ের সিল ছাড়াই ব্যবহার করে আসছে।
উত্তরা তুরাগ এলাকার মেসার্স লতিফ অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশন অকটেন ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৩১০ মিলি লিটার এবং দুইটি ডিজেল ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ১৬০ মিলি লিটার ও ১৭০ মিলি লিটার তেল কম দেয়।
গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকার মেসার্স মুন স্টার ফিলিং স্টেশনের একটি অকটেন ও একটি ডিজেল ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে ৬০ মিলি লিটার ও ৭০ মিলি লিটার তেল কম দেওয়া এবং চারটি গিলবার্কো ডিসপেন্সিং ইউনিট অবৈধভাবে ব্যবহার করে আসছে।
এ ধরনের কার্যক্রমে ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন লঙ্ঘন হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একই আইনে মামলা দায়ের করা হয়।